Header Ads

Study abroad in Spain

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি পেয়ে আ.লীগ নেতাদের সাংসদের গালাগাল।

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি পেয়ে আ.লীগ নেতাদের সাংসদের গালাগাল।



কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে ‘দুর্নীতিবাজ, দখলবাজ ও দুশ্চিরত্রের লোক’ বলেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি মুজিবুর রহমানকে অশালীন ভাষায় গালাগালও করেন। তাঁর ওই সময়ের বক্তব্যের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।


দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে গতকাল কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সাংসদ জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে নয়টা থেকে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাংসদের অনুসারী দলীয় নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে রাখেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা এলাকায় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সড়ক অবরোধ তুলে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাংসদ বক্তব্য দেন।সাংসদ জাফর আলম বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান একজন দখলবাজ। আমাদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা দেলোয়ার হোসেনের দেলোয়ার প্যারাডাইজ দখল করেছিল। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বুঝিয়ে সেই দেলোয়ার প্যারাডাইজ উদ্ধার করে দিয়েছি। এখনো তাঁর দখলে দু–তিনটি হোটেল আছে।’সাংসদ তাঁর বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের নেতা মোজাফ্ফর হোসেনের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। তাঁদের অস্ত্র মামলা, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন তিনি।সাংসদ বলেন, ‘জাহেদুল ইসলাম মাঠের ত্যাগী নেতা। তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের অবগত করেছি, এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে কক্সবাজার অচল করে দেওয়া হবে।’ সাংসদ একপর্যায়ে বলেন, ‘হয় চকরিয়াতে আমি থাকব, নয়তো কক্সবাজারের মুজিব থাকবে।’জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে ‘মদখোর’ উল্লেখ করে সাংসদ জাফর বলেন, ‘এগুলো আওয়ামী লীগের নেতা কেমনে হয়? মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম আওয়ামী লীগের সংগ্রাম, মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেখ হাসিনার সংগ্রাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছেন আর এই দুজন মদ খেয়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার মিশনে নেমেছে।’সাংসদ জাফর আলমের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এসব পরিকল্পিত মিথ্যাচার। জাফর আলমের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছিল। এ কারণে তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তরে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

No comments

Theme images by Goldmund. Powered by Blogger.